নিয়াজ মোর্শেদ,পটুয়াখালীঃ
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি মাত্র বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করে আসছে। আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধবপুর ডাঃ কমলেন্দু রায়ের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে ও ইউসুফ রাড়ির বাড়ির পূর্ব পার্শ্বে ‘কবির খালি’ খালের উপর নির্মিত এ বাঁশের সাঁকোটি এলাকার মানুষের পারাপারের একমাত্র সম্বল। বর্তমানে সাঁকোটি জরাজীর্ণ ও নড়বড়ে হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লক্ষিপাশা সরকারি জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধবপুর এন,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কৃৃষি ডিপ্লোমা এবং মহসেন উদ্দিন নূরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের একটি বড় অংশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। এছাড়া স্থানীয় এলাকাবাসীও বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাজার (হাজিরহাট,কাশিপুর,মিলঘর,মাধবপুর) এবং ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের জন্য এই সাঁকো ব্যবহার করে থাকে। ফলে কৃষিকাজ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার অবহিত করা হলেও অদ্যবধি তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান,’সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও শত ব্যস্ততার মাঝেও ছেলে মেয়েদের এই বাঁশের এ সাঁকো পার করে স্কুলে পাঠাতে হয়।’ অনিতা, সরস্বতিসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়,’ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি পারাপার হতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী পা পিছলে সাঁকো থেকে খালের পানিতে পড়ে বইপত্র নষ্ট ও আহত হলেও ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোর স্থানে এখনও ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মানের ব্যবস্থা করা হয়নি।’ আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম হাওলাদার বলেন,’এলাকাবাসীর কল্যান সাধন এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য এই বাঁশের সাকোটির পরিবর্তে একটা কালভার্ট বা ব্রিজ নির্মানের জন্য আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং এলজিইডি-কে অবহিত করেছি। কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোর স্থানে অতি দ্রুত ব্রিজ বা কালভার্ট নির্মাণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতনমহল।
Leave a Reply